(সুমিত রায়)
বাঘমামা একটি প্রশ্ন করেছেন দেখলাম, মোটা দম্পতি বিবাহ জীবনে সুখী কিনা এনিয়ে। অন্য একটি জায়গাতে তার সাথে আলোচনা হয়েছিল এই বিষয়ে, সেখানে তিনি আরও বলেন এখানে যৌনতা ফ্যাক্টর কারণ মোটা হলে যৌন আকর্ষণ বা লিবিডো কমে যায়, এখানে স্পোর্টস জরুরি। কিন্তু আমার কথা ছিল দাম্পত্য জীবনে মোটারা যে চিকনদের চেয়ে কম সুখী হবে এমনটা সব সময় বলা যায় না, একদিক দিয়ে বলাটা ঠিকও না।
বাঘমামা একটি প্রশ্ন করেছেন দেখলাম, মোটা দম্পতি বিবাহ জীবনে সুখী কিনা এনিয়ে। অন্য একটি জায়গাতে তার সাথে আলোচনা হয়েছিল এই বিষয়ে, সেখানে তিনি আরও বলেন এখানে যৌনতা ফ্যাক্টর কারণ মোটা হলে যৌন আকর্ষণ বা লিবিডো কমে যায়, এখানে স্পোর্টস জরুরি। কিন্তু আমার কথা ছিল দাম্পত্য জীবনে মোটারা যে চিকনদের চেয়ে কম সুখী হবে এমনটা সব সময় বলা যায় না, একদিক দিয়ে বলাটা ঠিকও না।
মোটা দম্পতি চিকন দম্পতির চেয়ে সুখীও হতে পারেন। এটা আমি বলছি না, গবেষণা
বলছে। মোটা লোকদের শরীরে FTO নামে পরিচিত একটি জিন থাকে (Fat mass and
Obesity Associated)। গবেষণায় দেখা গেছে এটি মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের
সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ডিপ্রেশন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর তাই
এই জিনকে 'হ্যাপি জিন'ও বলা হয়। সুতরাং জীববিজ্ঞানগতভাবে মোটা দম্পতিদের
সুখী হবার সম্ভাবনা বেশি থাকছে...
এবারে যৌনতার কথায় আসি। খুব বেশি মোটা না হলে লিবিডো তেমন কমে না। বেশি কোলেস্টেরল নিলেই ব্লাড ভেসেলে প্লাক হয় আর পেলভিক জোনে বেশি ব্লাড পৌঁছায় না। কিন্তু ডিপ্রেশন একটা মেজর ফ্যাক্টর। চিকনরাই সমাজে বেশি সুখী হয় তা আমাদের সমাজে একটা সোশ্যাল মিথ, এটা তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের মিডিয়া আর কর্পোরেট জগতের একটা ভাল প্রভাব থাকে। কিন্তু এর সাইকোলজিকাল এফেক্ট সাংঘাতিক। সমাজের তৈরি ভেল্যু সিস্টেম অনেক সময় ন্যাচারাল চাবি বডিকেও মোটা বলে ট্যাগ করে, এর ফলে ভাল মাসল টোন বা জিরো ফিগার না থাকার জন্য অনেকেই নিজেকে কম সেক্সুয়ালি ক্যাপাবল মনে করে। আর এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনেও। দেখা গেছে সমাজে যে বড় মাত্রায় অর্গাজম গ্যাপ দেখা যায় তার ক্ষেত্রে এই সাইকোলজিকাল ব্যাপারগুলো অনেক বড় প্রভাব ফেলে। মেদহীন শরীর বিভিন্ন বেনিফিটের জন্য কাম্য, স্পোর্টসও অনেক উপকারী। কিন্তু তাই বলে যে তুলনামূলকভাবে মোটা ব্যক্তি তুলনামূলকভাবে সেক্সুয়ালি আনেবল, লিবিডো প্রয়োজনের চেয়ে কম আর দাম্পত্যজীবনে বেশি অসুখী এসব ভাবার কোন কারণ নেই। বরং বিভিন্ন কারণে সমাজে যে 'চিকন হওয়াই বেস্ট' নামে যে মিথ তৈরি হয়েছে তার সাইকোলজিকাল সাইডএফেক্টের কারণেই বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এবারে যৌনতার কথায় আসি। খুব বেশি মোটা না হলে লিবিডো তেমন কমে না। বেশি কোলেস্টেরল নিলেই ব্লাড ভেসেলে প্লাক হয় আর পেলভিক জোনে বেশি ব্লাড পৌঁছায় না। কিন্তু ডিপ্রেশন একটা মেজর ফ্যাক্টর। চিকনরাই সমাজে বেশি সুখী হয় তা আমাদের সমাজে একটা সোশ্যাল মিথ, এটা তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের মিডিয়া আর কর্পোরেট জগতের একটা ভাল প্রভাব থাকে। কিন্তু এর সাইকোলজিকাল এফেক্ট সাংঘাতিক। সমাজের তৈরি ভেল্যু সিস্টেম অনেক সময় ন্যাচারাল চাবি বডিকেও মোটা বলে ট্যাগ করে, এর ফলে ভাল মাসল টোন বা জিরো ফিগার না থাকার জন্য অনেকেই নিজেকে কম সেক্সুয়ালি ক্যাপাবল মনে করে। আর এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনেও। দেখা গেছে সমাজে যে বড় মাত্রায় অর্গাজম গ্যাপ দেখা যায় তার ক্ষেত্রে এই সাইকোলজিকাল ব্যাপারগুলো অনেক বড় প্রভাব ফেলে। মেদহীন শরীর বিভিন্ন বেনিফিটের জন্য কাম্য, স্পোর্টসও অনেক উপকারী। কিন্তু তাই বলে যে তুলনামূলকভাবে মোটা ব্যক্তি তুলনামূলকভাবে সেক্সুয়ালি আনেবল, লিবিডো প্রয়োজনের চেয়ে কম আর দাম্পত্যজীবনে বেশি অসুখী এসব ভাবার কোন কারণ নেই। বরং বিভিন্ন কারণে সমাজে যে 'চিকন হওয়াই বেস্ট' নামে যে মিথ তৈরি হয়েছে তার সাইকোলজিকাল সাইডএফেক্টের কারণেই বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন