না ধন চাহিয়ে.. না দৌলত...সির্ফ শকত চাহিয়ে

(অনিন্দ্য রায়)

সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষদের বিভিন্ন রীতি-নীতি নিয়ে বেশ ভালো একটা সার্ভে করা যায় আমার মত কন্সট্রাকশন পেশায় থাকলে। জন মজুর খাটার জন্যে কোন স্কিল এর প্রয়োজন হয় না বলে গরীব মানুষের প্রিয় পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ, কখনো একা, কখনো সপরিবারে মিলে মজুর খাটতে চলে যায় অনেক দূর পর্যন্ত। তারপর সবার মিলিত আয় থেকে খানিলটা স্বচ্ছলতা চলে এলেই দেখা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামের সেই লাজুক বউটির শহুরে আপগ্রেডেশন। আর ভাত কাপড়ের নিশ্চয়তার পরে আসে, পেটের নিচের তাগিদ। এই পেটের নিচের তাগিদ মেটানো নিয়ে ঐ সমাজে আমাদের মধ্যবিত্ত রীতি রেওয়াজ সংস্কার একেবারেই অচল। সবই তাদের নিজেদের মত। আমরা যাকে পরকীয়া বলি, তা নিম্নবিত্ত সমাজে খুব সাধারণ ব্যাপার।
 
ওদের মধ্যে এটা দেখা যায়, কারুর বউ অপর কারো সাথে পালালো, তারপরে যার বউ সে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আবার ধরে নিয়ে এলো। আর যার থেকে ফেরত আনলো তাকে ঐ কদিনের খরচও ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিলো। তারপরে আবার সব স্বাভাবিক। অবাক লাগে, কোন অশান্তি নেই, সবাই কপ্তটা স্বাভাবিকভাবে নেয় এগুলো। সাউথ ইন্ডিয়া, ইউপি, এমপি, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, বিহার সবখানে ওদের সমাজে এই পরকীয়া জাতীয় বিষয়টা প্রায় এক। পুরুষদের খুব একটা গা গরজ বা চিন্তা দেখা যায় না। যত অশান্তি শুধু মালদা থেকে আসা মুসলিমদের নিয়ে, এরা এই সমাজেও খাপ খায় না।

হোক না, আমাদের দেখা এই সোশাল ক্লাস্টারের পরকীয়ার রীতিনীতি আর তার সমাধানের গল্পগুলো নিয়ে চর্চা ও বিশ্লেষন। হয়তো আমার দেখাটা একজন পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গী। কিন্তু মেয়েদের মনস্তাত্বিক দিকগুলো দেখার জন্যে আমাদের বন্ধুরা তো আছেই।

মন্তব্যসমূহ