পথে হলো পরিচয়

(কুজন চৌধুরী)

যেতে যেতে পথে দেখা হোয়েছিলো তোমাতে আমাতে
ঢাকা থেকে চন্দ্রায় ট্রাফিকজ্যামে দেখেছি তোমাতে।

ডাগর চোখের কোণে গভীর কালিতে আঁকা
চোখ পড়েছিলো চোখে কতোনা মায়ায় মাখা

চুপি চুপি আড়চোখে তাকিয়ে থাকা
পথেই মিশে যায় দেখেছিনু একা ।
উঁচু নিচু ভাঙা ভাঙা রাস্তায়
দুলেছিলে তুমি নি:সীম শুন্যতায়

শব্দহীন চাহনিতে ইলোরা অজন্তা হারায়
পথের বাঁকে বাঁকে দেখেছি গোপনে তোমায়।
এলেংগায় ধীর গতিতে মৌনতা ভেঙেছিলে
আছে নাকি জল জানতে চেয়েছিলে

দু'হাত বাড়িয়ে নিশ্চুপে দিয়েছি তুলে
পিয়াস মিটাবার ছলে দেখেছি ভুলে ।
যমুনা সেতুতে টান টান চোখে
দেখেছিলে ঢেউ একান্ত অপলোকে

ভালোলাগা ফুটেছিলো নিষ্পাপ চোখেমুখে
কি আবীরে সে ছবি আঁকি ভেবেছিনু নতমুখে ।
হাইওয়ে রেস্তরাঁয় বিরতিতে আসিলে কাছে
শুধালে ধীরে কোথায় যাব সাথে কে আছে

তন্ময় হয়ে শুনেছি কথা ছিল যা সব ভুলেছি
শুধু বোকা হয়ে একা একা ভিরু তাকায়েছি।
গাইবান্ধ্যা সৈয়দপুর হয়ে দ্রুত যাচ্ছিল দিনাজপুর
মনে হলো মোর এক নিমিষেই কেটে গেলো দুপুর

পঞ্চগড় এসে শুধালে ফিরিব কবে কোন বাসে
ঠিক কি বলব কিছুতেই কোনো কথা না আসে।
তেতুলিয়া এসে সব পথ শেষ হলো
নিচু স্বরে বললাম এত তাড়াতাড়ি এলো

মৃদু হেসে বললে সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরী
কখোন কেটে গেছে সময় বোঝেনি সুন্দরী ।
আজো কোনো যাত্রায় সহসা সে ছবি দোলা দেয়
জানিনা সে সহযাত্রী ক্যামন আছে রয়েছে কোথায়
শুধু স্মৃতিরা জেগে রয়
আহা মানুষ এভাবে হারায় !!

মন্তব্যসমূহ