দেশের সংবিধান ধর্মের উপরে

(মৃনাল মজুমদার)

আর সেই কারণেই দেশের নাগরিক রা অন্য দেশে গেলে, সেই দেশের সংবিধান অনুযায়ী বিয়ে ডিভোর্স করে, জীবন ধারণ করে ।আমেরিকা তে গিয়ে কোনো ইন্ডিয়ান মুসলিম ৪ বৌ নিয়ে ঘর করতে পারেনা, তেমনি তিন তালাক দিয়ে ডিভোর্স করেনা।আইন মেনে নিয়েই আমেরিকা যায় ,তবুও তারা মুসলিম ইউনিভার্সাল মুসলিম পার্সোনাল ল UNO স্বীকৃত নয়, যে সব UNO সদস্য দেশ মানতে বাধ্য। ইন্ডিয়ান হিন্দু রা অনেকে সপ্তপদী বিয়ে করে, কিন্তু যে দেশে থাকে সেই দেশের আইন মেনে রেজিস্ট্রি করে আইন স্বীকৃত বিয়ে করে- বাংলদেশ ছাড়া পৃথিবীর যে দেশে বিয়ে ডিভোর্স করুক না কেনো ! এক দেশ এক আইন না হলে সেই দেশে বিভেদ সৃষ্টি হয়। তবে মুসলিম দের ও ইন্ডিয়ান স্ট্যানার্ড নিয়ম মেনে বিয়ে ডিভোর্স হবার পর, ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে তালাক দেবার অধিকার পাওয়া উচিত। তাতে দেশের আইন ও মানা হলো , ধর্ম রক্ষাও হলো! 

তবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর সাহস থাকলে, তারা গোপন ব্যালট এ সব বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের দিয়ে গণভোট করিয়ে, যে রেজাল্ট হতো, সেটাই সরকার কে মানতে অনুরোধ করতো!

বিয়ে তালাক এর বেলায় যদি শরিয়তি নিয়ম কার্য্যকারী করতে বলে ইন্ডিয়ান মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড, তা হলে বাকি শরিয়তি আইন গুলো কেন কার্যকর করতে বলছেনা সরকার কে, মৃত্যু দণ্ড গলা কেটে বা পাথর ছুড়ে , চুরির শাস্তি হাত কেটে .................................... কেন ধর্ম নিবিশেষে সব মহিলাদের বুরখা পরে রাস্তায় নামার আইন করতে সরকার কে পরামর্শ দেয়না? কেন বিধর্মী মহিলা দের ফেস দেখে তারা কষ্ট পাবে? জাতি ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে, যে কোনো পুরুষ ৩ তালাক ডিভোর্স এর পক্ষে থাকবে!

প্রকৃতি কি ১ জন পুরুষ পিচু ৪ জন মহিলা জন্ম দেয় ? কাজেই সাম্যতায় বিশ্বাস করলে কি ভাবে একাধিক বৌ এর দাবি কার্যকারী রাখা সম্ভব? যেভাবে ইন্ডিয়া তে পুরুষ অনুপাতে মহিলা কমছে, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এক নারী পিছু ২ স্বামী র দাবি পুরুষ রা করে বসবে!

মন্তব্যসমূহ