(ঋজব্রত চক্রবর্তী)
বাঙালীদের অদ্ভুত এক রোগ দেখা যাচ্ছে। অন্য কোনো রাজ্যের কোনো পলিটিকাল আলোচনা হলেই দেখছি ওয়েস্টবেবেঙ্গলের বিভিন্ন দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে যেটা রীতিমত হাস্যকর। মমতা ব্যানার্জীকে মমতাজ বেগম জাতীয় নাম দেওয়া হচ্ছে আর টার্গেট করা হচ্ছে একটা পার্টিকুলার কমিউনিটিকে, মুসলিমদের! মমতা ব্যানার্জী প্রতিবছর কয়েকশো দূর্গাপুজো উদ্বোধন করেন, কয়েক হাজার ক্লাবকে টাকা দেন পুজো করার, নিজের বাড়িতে ঘটা করে কালীপূজা করেন ও ভোগের ব্যবস্থা করেন যেখানে প্রচুর লোকে খায়। এগুলো করলে কারুর কিছু সমস্যা মনে হয়না কিন্তু মাথায় হিজাব পরে কোনো ইফতার পার্টিতে গেলেই লোকজন রেরে করে আসে। মোহন ভাগবত মমতাকে দূর্গা বললে কারুর গা জ্বলে না, বরকতি কিছু বললেই রাগ হয়। তপন ঘোষের মতো সাম্প্রদায়িক লোক মমতাকে সর্বসমক্ষে সমর্থন জানিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বললে কারুর কিছু গায়ে লাগে না, কিন্তু সিদ্দিকুল্লা কিছু বললেই ভোটে দাঁড়ালেই গোঁসা হয়! হিপোক্রিসির লেভেলই আলাদা! গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে হওয়া বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সরকার কখনোই স্বীকার করেনি, সংবাদমাধ্যমও মোটামুটিভাবে এড়িয়ে গেছে। স্বীকার না করার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ অবশ্যই কমিউনাল টেনশনকে প্রশমিত করা, তাছাড়াও আরেকটা কারণ হলো এই ঘটনাগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটার পেছনে তৃণমূলের লোকজনের(নেতা, এমএলএ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত যেটা সত্যিই তৃণমূলের পক্ষে মানা অসম্ভব। এমনকি তসলিমা নাসরিনের বাংলা ছাড়ার পেছনেও একটা বড় কারণ তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলি। অবশ্যই সেইসময় বাম সরকার ক্ষমতায় ছিলো এবং এই ঘটনাটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছাড়া কিছু না যা বুদ্ধদেবের সময় একাধিকবার দেখা গেছে। রিজওয়ানুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা এই প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখেছি।
বাঙালীদের অদ্ভুত এক রোগ দেখা যাচ্ছে। অন্য কোনো রাজ্যের কোনো পলিটিকাল আলোচনা হলেই দেখছি ওয়েস্টবেবেঙ্গলের বিভিন্ন দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে যেটা রীতিমত হাস্যকর। মমতা ব্যানার্জীকে মমতাজ বেগম জাতীয় নাম দেওয়া হচ্ছে আর টার্গেট করা হচ্ছে একটা পার্টিকুলার কমিউনিটিকে, মুসলিমদের! মমতা ব্যানার্জী প্রতিবছর কয়েকশো দূর্গাপুজো উদ্বোধন করেন, কয়েক হাজার ক্লাবকে টাকা দেন পুজো করার, নিজের বাড়িতে ঘটা করে কালীপূজা করেন ও ভোগের ব্যবস্থা করেন যেখানে প্রচুর লোকে খায়। এগুলো করলে কারুর কিছু সমস্যা মনে হয়না কিন্তু মাথায় হিজাব পরে কোনো ইফতার পার্টিতে গেলেই লোকজন রেরে করে আসে। মোহন ভাগবত মমতাকে দূর্গা বললে কারুর গা জ্বলে না, বরকতি কিছু বললেই রাগ হয়। তপন ঘোষের মতো সাম্প্রদায়িক লোক মমতাকে সর্বসমক্ষে সমর্থন জানিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বললে কারুর কিছু গায়ে লাগে না, কিন্তু সিদ্দিকুল্লা কিছু বললেই ভোটে দাঁড়ালেই গোঁসা হয়! হিপোক্রিসির লেভেলই আলাদা! গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে হওয়া বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সরকার কখনোই স্বীকার করেনি, সংবাদমাধ্যমও মোটামুটিভাবে এড়িয়ে গেছে। স্বীকার না করার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ অবশ্যই কমিউনাল টেনশনকে প্রশমিত করা, তাছাড়াও আরেকটা কারণ হলো এই ঘটনাগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটার পেছনে তৃণমূলের লোকজনের(নেতা, এমএলএ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত যেটা সত্যিই তৃণমূলের পক্ষে মানা অসম্ভব। এমনকি তসলিমা নাসরিনের বাংলা ছাড়ার পেছনেও একটা বড় কারণ তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলি। অবশ্যই সেইসময় বাম সরকার ক্ষমতায় ছিলো এবং এই ঘটনাটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছাড়া কিছু না যা বুদ্ধদেবের সময় একাধিকবার দেখা গেছে। রিজওয়ানুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা এই প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখেছি।
শুনেছি জ্যোতিবাবু নাকি বলতেন দাঙ্গার কথা বললেই আগে গুলি চালানো হবে
তারপর সব কথা! এইরকম কথার ফলাফলও আমরা দেখেছি। একসময়ে ভারতের মধ্যে
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় রেকর্ড করা বাংলা দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো রকম
দাঙ্গামুক্ত ছিলো। এখন পশ্চিমবঙ্গে যা হচ্ছে তাও এই সরকারের চূড়ান্ত
প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও অপদার্থতা। সাথে আছে তৃণমূলের নোংরা রাজনীতি যেখানে
হিন্দুত্ববাদী আর জামাতি দুপক্ষকেই বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছে। ২০১১ থেকে
এখনো অব্দি কয়েক হাজার আরএসএস দ্বারা প্রচালিত স্কুল এই বাংলায় খুলেছে।
অন্যদিকে বেড়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়নের নামে জামাতি তোষণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
বাসস্থান বা অর্থনৈতিক উন্নতি যা সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বেশী জরুরী সেগুলো
না হলেও জামাতি সাংসদ পাওয়া গেছে। সারদার টাকা বাংলাদেশের জামাতিদের হাতে
গেছে। উন্নয়নের নামে জমিদখল করে প্রোমোটারি, জোর জুলুম বছর বছর বেড়েছে, আইন
শৃঙ্খলা, নারী সুরক্ষায় অবনতি, দূর্নীতিতে এই সরকার বাংলার নাম গোটা ভারতে
আগেই খারাপ করেছে, সংক্ষেপে সুবিধাবাদী রাজনীতি আর প্রশাসনিক ব্যর্থতা
অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ধর্মের ব্যাপারে আমার ধারণা কম কিন্তু এটুকু বুঝি যে বাংলা সহজিয়া ধর্মে বিশ্বাসী। এই রাজ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ শান্তিতে, ভালোবাসায় বসবাস করে এসেছে, একে অপরের উতসবে অংশগ্রহণ করেছে, আনন্দ করেছে, উদযাপন করেছে নির্দ্বিধায়। কিছু অসাধু রাজনীতিক এই শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এদেরকে আটকাতে পারেন শুধু বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষই।
ধর্মের ব্যাপারে আমার ধারণা কম কিন্তু এটুকু বুঝি যে বাংলা সহজিয়া ধর্মে বিশ্বাসী। এই রাজ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ শান্তিতে, ভালোবাসায় বসবাস করে এসেছে, একে অপরের উতসবে অংশগ্রহণ করেছে, আনন্দ করেছে, উদযাপন করেছে নির্দ্বিধায়। কিছু অসাধু রাজনীতিক এই শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এদেরকে আটকাতে পারেন শুধু বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন