(দেবজ্যোতি মিত্র)
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের গল্প এটা। তখন আমাদের আড্ডাই জীবন, সকাল থেকে রাত অবধি কেউ না কেউ সুবলের চায়ের দোকানে চিতা জাগানোর জন্য বসে থাকে, সক্কালবেলা সাতটাও বাজেনি তখন, সুখেন্দুবাবুর কাছে অংক করতে যাচ্ছি, সুবলের দোকান পেরিয়ে তো যেতে হবে পড়তে, সাইকেল নিয়ে ঢিমেতালে যাচ্ছি, দেখি এক বন্ধুর হাত চলছে সুবলের বেঞ্চে বসে বসে, প্রমাদ গুনতে লাগলাম, তারপর সেই অবধারিত ডাক, আয় বে বানানো হয়ে গেছে, দুটান মেরে যা। লে ঠ্যালা বোঝ এবার, ছিলিমের অমোঘ ডাক উপেক্ষা করার মতো মনের জোর হয়নি তখন, দুজন মিলে একছিলিম মেরে ঝুমকা গিরা রে ভাঁজতে ভাঁজতে চললাম ডিগ্ৰি কোর্সের অংক কষতে, সাইকেলতো এগোতেই চায় না, যাই হোক কিলোমিটার দেড়েকের পথ মনে হলো এক জন্ম লেগে গেলো পেরোতে, স্যারের ভীষণ স্নেহের পাত্র আমি, একমাত্র আমারই অনুমতি ছিলো ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে যে কোনো ব্যাচে পড়তে যাওয়ার এবং আমি সেই সুযোগের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য মেয়েদের ব্যাচে পড়তে যেতে বেশী পছন্দ করতাম, বয়সের ধর্ম আর কি। এখনকার প্রজন্মের ছেলেরা ভাবছে মেয়েদের ব্যাচ আবার কি, আমাদের সময়েও মফস্বলে মেয়েরা আলাদা প্রজাতি ছিলো, তাদের সংরক্ষণের প্রয়োজন অনুভব করতো বাবা মা শিক্ষকেরা। এই এক বদ অভ্যেস আমার বকবক করতে করতে কোথা থেকে কোথায় চলে যাই, যাই হোক উস্কোখুস্কো চুল লাল চোখ নিয়ে আমার জন্য নির্ধারিত স্যারের বাঁ পাশের চেয়ারে বসলাম, অংক কি করবো আমি তো তখন সংখ্যার নাচ দেখছি, স্যার হঠাৎ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন কি হলো জ্যোতি( স্যার স্নেহভরে এই নামেই ডাকতেন আমাকে) ভালো ঘুম হয় নি না কি চোখ এতো লাল কেন, কথাগুলো কানে ঢুকছে কিন্তু মাথায় পৌঁছবার আগেই সেই ঝুমকা গিরা রে।
অনেক হ্যাজালাম এবার আসল গল্পে আসি, সময়টা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কনকনে ঠান্ডা , দেশ পত্রিকায় তখন ধারাবাহিক মাধুকরী চলছে, আমরা তখন এক একজন পিরথু দাদা, রাতে মদ খেতে খেতে হঠাৎ করে কথা উঠলো পালামৌ এর জঙ্গলে বেড়াতে যাবার, অনেকটা লেখা হয়ে গেলো একটু পরে আসছি বাকিটা নিয়ে, পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটিয়ে লাভ নেই
(চলবে)
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের গল্প এটা। তখন আমাদের আড্ডাই জীবন, সকাল থেকে রাত অবধি কেউ না কেউ সুবলের চায়ের দোকানে চিতা জাগানোর জন্য বসে থাকে, সক্কালবেলা সাতটাও বাজেনি তখন, সুখেন্দুবাবুর কাছে অংক করতে যাচ্ছি, সুবলের দোকান পেরিয়ে তো যেতে হবে পড়তে, সাইকেল নিয়ে ঢিমেতালে যাচ্ছি, দেখি এক বন্ধুর হাত চলছে সুবলের বেঞ্চে বসে বসে, প্রমাদ গুনতে লাগলাম, তারপর সেই অবধারিত ডাক, আয় বে বানানো হয়ে গেছে, দুটান মেরে যা। লে ঠ্যালা বোঝ এবার, ছিলিমের অমোঘ ডাক উপেক্ষা করার মতো মনের জোর হয়নি তখন, দুজন মিলে একছিলিম মেরে ঝুমকা গিরা রে ভাঁজতে ভাঁজতে চললাম ডিগ্ৰি কোর্সের অংক কষতে, সাইকেলতো এগোতেই চায় না, যাই হোক কিলোমিটার দেড়েকের পথ মনে হলো এক জন্ম লেগে গেলো পেরোতে, স্যারের ভীষণ স্নেহের পাত্র আমি, একমাত্র আমারই অনুমতি ছিলো ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে যে কোনো ব্যাচে পড়তে যাওয়ার এবং আমি সেই সুযোগের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য মেয়েদের ব্যাচে পড়তে যেতে বেশী পছন্দ করতাম, বয়সের ধর্ম আর কি। এখনকার প্রজন্মের ছেলেরা ভাবছে মেয়েদের ব্যাচ আবার কি, আমাদের সময়েও মফস্বলে মেয়েরা আলাদা প্রজাতি ছিলো, তাদের সংরক্ষণের প্রয়োজন অনুভব করতো বাবা মা শিক্ষকেরা। এই এক বদ অভ্যেস আমার বকবক করতে করতে কোথা থেকে কোথায় চলে যাই, যাই হোক উস্কোখুস্কো চুল লাল চোখ নিয়ে আমার জন্য নির্ধারিত স্যারের বাঁ পাশের চেয়ারে বসলাম, অংক কি করবো আমি তো তখন সংখ্যার নাচ দেখছি, স্যার হঠাৎ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন কি হলো জ্যোতি( স্যার স্নেহভরে এই নামেই ডাকতেন আমাকে) ভালো ঘুম হয় নি না কি চোখ এতো লাল কেন, কথাগুলো কানে ঢুকছে কিন্তু মাথায় পৌঁছবার আগেই সেই ঝুমকা গিরা রে।
অনেক হ্যাজালাম এবার আসল গল্পে আসি, সময়টা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কনকনে ঠান্ডা , দেশ পত্রিকায় তখন ধারাবাহিক মাধুকরী চলছে, আমরা তখন এক একজন পিরথু দাদা, রাতে মদ খেতে খেতে হঠাৎ করে কথা উঠলো পালামৌ এর জঙ্গলে বেড়াতে যাবার, অনেকটা লেখা হয়ে গেলো একটু পরে আসছি বাকিটা নিয়ে, পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটিয়ে লাভ নেই
(চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন