(দেবজ্যোতি মিত্র)
ওর ঘাড়ে গড়াগড়ি খেতে খেতে সকালবেলায় পৌঁছে গেলাম রাঁচি, রাঁচি তো এলাম এখান থেকে বেতলা যাবো কি করে, জানিনা কিছুই, দুজন বন্ধু খবর নিতে গেলো বাসস্ট্যান্ডে, বেশ কিছুক্ষণ পরে দুজন ফিরলো খবর নিয়ে, সকালবেলা উঠেই মাল মেরে লটরপটর করতে করতে এসে বলল দুপুরে বাস, সেই বাসে করে ডাল্টনগঞ্জ পৌঁছতেই রাত হয়ে যাবে, সেখান থেকে DFO র কাছে ঘরের ব্যবস্থা করে বেতলা, যাইহোক দুপুরে খেয়েদেয়ে বাস ধরা হলো, সঙ্গে সেদিনের কোটার মতো MMB হুইস্কি, নামটা এখনও মনে আছে, কারণ তার আগে বা পরে অত কটু স্বাদের মদ খাওয়ার অভিজ্ঞতা আজ ও হয়নি, বাসেতো চাপলাম কিন্তু বাসের চেহারা দেখে ভরসা হচ্ছে না, এ বাস অতদূর পৌঁছবে বলে, বাস চলছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে, হাত দেখালেই দাঁড়িয়ে পড়ে। অতদূর যাবে তো বাসটা? এই দোলাচলের মধ্যে চায়ে নাস্তাকে লিয়ে সন্ধের মুখে বাস দাঁড়ালো একটা গঞ্জ মতন জায়গার ধাবায়, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আট পিরথু দাদার বোতল অন, খেতে খেতে কখন যে আশপাশের সবাই চলে গেছে খেয়াল করিনি কেউ, সম্বিত ফিরলো বাস স্টার্ট করে হর্ন দিয়ে কিছুটা এগিয়ে যাবার পর, যার গ্লাসে যতটা ছিলো একটানে মেরে দিয়ে দৌড়,এ রোকো রোকো, বেশকিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাস দাঁড়ালো বিচ্ছিরি খিস্তি করলাম ড্রাইভার কন্ডাক্টরকে, হুইস্কির নেশায় ডিসেম্বরের ঐ ঠান্ডায় বাসের ছাদে উঠে পরলাম আমরা জনা তিন চার ছেলে, কন্ডাক্টর অনেক অনুনয় বিনয় করলো ছাদে না চাপার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে, অন্ধকারে রাস্তার দুধারে প্রাগৈতিহাসিক গাছগুলো সরে সরে যাচ্ছে, আমি তখন হুইস্কির মৌতাতে বুঁদ, চমকে উঠলাম হঠাৎ করে টায়ার ফাটার তীব্র আওয়াজে, বাসটা কোনোক্রমে ব্রেক কষে টলতে টলতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লো, হুড়মুড় করে নেমে এলাম ছাদ থেকে, বাকি মদটা খাওয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। খুঁজে পেতে বাসের ই বালতিতে তলানির জল পাওয়া গেলো, জঙ্গলের মধ্যে রাস্তায় বসে পড়লাম মদ খেতে, মদ শেষ টায়ার লাগানো হয়নি তখন ও, চুপচাপতো বসে থাকা যায় না, শুরু হলো সম্মিলিত হেঁড়ে গলায় গান আর আটজনের ভুতনেত্য, এবার আর কন্ডাক্টর ভুল করেনি,ডেকে আটজনকে হাঁসের বাচ্চা তোলার মতো গুনে গুনে বাসে তুললো,ডাল্টনগঞ্জ পৌঁছলাম যখন, তখন ওখানকার মাঝরাত্তির, অনেক খুঁজেখাঁজে রাতে থাকার মতো একটা ঘর পাওয়া গেলো যখন, তখন শরীর আর টানছে না, যে যার মতো বিছানায় ধপ। বাকিটা কাল হবে শুভরাত্রি
(চলবে)
ওর ঘাড়ে গড়াগড়ি খেতে খেতে সকালবেলায় পৌঁছে গেলাম রাঁচি, রাঁচি তো এলাম এখান থেকে বেতলা যাবো কি করে, জানিনা কিছুই, দুজন বন্ধু খবর নিতে গেলো বাসস্ট্যান্ডে, বেশ কিছুক্ষণ পরে দুজন ফিরলো খবর নিয়ে, সকালবেলা উঠেই মাল মেরে লটরপটর করতে করতে এসে বলল দুপুরে বাস, সেই বাসে করে ডাল্টনগঞ্জ পৌঁছতেই রাত হয়ে যাবে, সেখান থেকে DFO র কাছে ঘরের ব্যবস্থা করে বেতলা, যাইহোক দুপুরে খেয়েদেয়ে বাস ধরা হলো, সঙ্গে সেদিনের কোটার মতো MMB হুইস্কি, নামটা এখনও মনে আছে, কারণ তার আগে বা পরে অত কটু স্বাদের মদ খাওয়ার অভিজ্ঞতা আজ ও হয়নি, বাসেতো চাপলাম কিন্তু বাসের চেহারা দেখে ভরসা হচ্ছে না, এ বাস অতদূর পৌঁছবে বলে, বাস চলছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে, হাত দেখালেই দাঁড়িয়ে পড়ে। অতদূর যাবে তো বাসটা? এই দোলাচলের মধ্যে চায়ে নাস্তাকে লিয়ে সন্ধের মুখে বাস দাঁড়ালো একটা গঞ্জ মতন জায়গার ধাবায়, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আট পিরথু দাদার বোতল অন, খেতে খেতে কখন যে আশপাশের সবাই চলে গেছে খেয়াল করিনি কেউ, সম্বিত ফিরলো বাস স্টার্ট করে হর্ন দিয়ে কিছুটা এগিয়ে যাবার পর, যার গ্লাসে যতটা ছিলো একটানে মেরে দিয়ে দৌড়,এ রোকো রোকো, বেশকিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাস দাঁড়ালো বিচ্ছিরি খিস্তি করলাম ড্রাইভার কন্ডাক্টরকে, হুইস্কির নেশায় ডিসেম্বরের ঐ ঠান্ডায় বাসের ছাদে উঠে পরলাম আমরা জনা তিন চার ছেলে, কন্ডাক্টর অনেক অনুনয় বিনয় করলো ছাদে না চাপার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে, অন্ধকারে রাস্তার দুধারে প্রাগৈতিহাসিক গাছগুলো সরে সরে যাচ্ছে, আমি তখন হুইস্কির মৌতাতে বুঁদ, চমকে উঠলাম হঠাৎ করে টায়ার ফাটার তীব্র আওয়াজে, বাসটা কোনোক্রমে ব্রেক কষে টলতে টলতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লো, হুড়মুড় করে নেমে এলাম ছাদ থেকে, বাকি মদটা খাওয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। খুঁজে পেতে বাসের ই বালতিতে তলানির জল পাওয়া গেলো, জঙ্গলের মধ্যে রাস্তায় বসে পড়লাম মদ খেতে, মদ শেষ টায়ার লাগানো হয়নি তখন ও, চুপচাপতো বসে থাকা যায় না, শুরু হলো সম্মিলিত হেঁড়ে গলায় গান আর আটজনের ভুতনেত্য, এবার আর কন্ডাক্টর ভুল করেনি,ডেকে আটজনকে হাঁসের বাচ্চা তোলার মতো গুনে গুনে বাসে তুললো,ডাল্টনগঞ্জ পৌঁছলাম যখন, তখন ওখানকার মাঝরাত্তির, অনেক খুঁজেখাঁজে রাতে থাকার মতো একটা ঘর পাওয়া গেলো যখন, তখন শরীর আর টানছে না, যে যার মতো বিছানায় ধপ। বাকিটা কাল হবে শুভরাত্রি
(চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন