(সোমা সাঁতরা)
আমার থেকে থেকে নস্টালজিয়া পায় ! দিনের গড়পড়তা চলায় একটু এদিক ওদিক হলেই সেই সূত্র ধরে স্মৃতির অতলে চলে যাই !!
ধোনীকে নিয়ে মুভিটা দেখতে দেখতে চলে গেলাম ২০০৩ এ! কোনরকম লজিক ছাড়াই ধোনীর আলোচনায় আমি রেগে উঠি ! ওঁকে পছন্দ করি না ! ও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে খেলা খুবই কম দেখি ! কারন একটাই , সৌরভ ! আমি ম্যাডলি ইন ফ্যানশিপ উইথ সৌরভ !
যাইহোক ! সেই দিনটা ছিল ২০০৩ ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল ! টগবগে উত্তজনা নিয়ে সারা পাড়া মাঠ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দিয়েছি ( বিপ্লবীরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে এত লিফলেট বিলি করেছিলেন কিনা সন্দেহ আছে ) !! ক্রিসেন্ট অ্যাথলেটিক ক্লাবে আবীর দিয়ে বানান হল ভারতের মানচিত্রও!! আগের দিন রাতের ঘুম উড়ে কল্পনার ক্যানভাস হয়ে গেছে ! আমি সেখানে আবীর ওড়াচ্ছি , নাচছি , রসগোল্লা খাচ্ছি , বাজি পোড়াচ্ছি !! সৌরভের হাতে ওয়ার্ল্ড কাপ ! ঘরে সেইমত অঢেল আয়োজনও করা !!
খেলা শুরু হল মিন্টু রাজীবদের চকলেট বোমের হুঙ্কারে ! তারপর চকলেট বোমের হুঙ্কারের জবাব দিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা অত্যন্ত সুচারুভাবে ! দিয়ে দিয়ে দিয়ে এমন একটা জায়গায় দাঁড় করাল কে সোচ রহে থে খায়ে কঁহাসে অউর ..... হোয়াটএভার সেকেন্ড ইনিংসে সৌরভ সচীন যুবিরা ব্যাটের বদলে স্টেইনগান চালাবেন এই আশায় পাশের বাড়ির সোনির বড় কালার টিভির সামনে গিয়ে বসলাম ! আমার দুই খুদে ছাত্রী ফ্রিজের জল এগিয়ে দিল! অকস্মাৎ গিল্ক্রিস্টকে নিল হরভাজ্জি !! আনন্দে আত্মহারা আমি ছুটলাম আমার চকলেট বোমের বাক্সের দিকে ! আমার মনেহল সম্মিলিত বোমের ধমাকায় চমকে উঠবে পন্টিং ! ভেঙ্গে যাবে তাদের আত্মবিশ্বাস ! ইন্ডিয়া টিমের স্বার্থে নিজের প্রিয় ক্রিকেটারকে উৎসাহিত করার স্বার্থে দেশকে গৌরবান্বিত করার স্বার্থে আমি দৌড়ালাম!! ঘরে ঢুকে চকলেটের বাক্স আর দেশলাই ও ধূপ নিয়ে চৌকাঠ পেড়োতে গেলাম! চটিজোড়া উল্টে ছিল , একটাকে সোজা করলাম পরলাম এবং অপরটা নিজেই সোজা হয়ে পায়ে ঢুকে গেছে এরকম একটা ভাবে দেশলাই জ্বালাতে জ্বালাতে মাঠের দিকে লাফাতে গেলাম !
এই জগতে এই পৃথিবীতে ভাল চাওয়ার কোন দাম আছে ??? নেই নেই নেই ! থাকলে ওভাবে সেদিন পা মুড়ে পররতাম না !! নীল হয়ে পাঁচগুন ফুলে যাওয়া পা নিয়ে ম্যাচটাকে যন্ত্রনার কাতরধ্বনি দিয়ে বিহ্বল করে তুলে পন্টিংকে ১৪০ আর টিমকে ৩৫৯ করার সুযোগ দিতাম না !! আমার প্রায় অজ্ঞান হওয়া ব্যাথাক্লিষ্ট শরীর সেকেন্ড হাফে নার্সিংহোম ছুটল কাকুর গজরানি ও সারা রাস্তা জুড়ে ছোট বড় স্ক্রীনে ইন্ডিয়ান টিমের কালীপটকা ও ঝুঝ্ঝুরিবাতির পটপটানি ও ঝলকানি দেখে শুনে !
নার্সিংহোম থেকে যখন ফিরব তখন সব শেষ ! আশার লাস পরে আছে , ব্যাকে গান চলছে ' তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরনযাত্রা....' !!
আমার থেকে থেকে নস্টালজিয়া পায় ! দিনের গড়পড়তা চলায় একটু এদিক ওদিক হলেই সেই সূত্র ধরে স্মৃতির অতলে চলে যাই !!
ধোনীকে নিয়ে মুভিটা দেখতে দেখতে চলে গেলাম ২০০৩ এ! কোনরকম লজিক ছাড়াই ধোনীর আলোচনায় আমি রেগে উঠি ! ওঁকে পছন্দ করি না ! ও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে খেলা খুবই কম দেখি ! কারন একটাই , সৌরভ ! আমি ম্যাডলি ইন ফ্যানশিপ উইথ সৌরভ !
যাইহোক ! সেই দিনটা ছিল ২০০৩ ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল ! টগবগে উত্তজনা নিয়ে সারা পাড়া মাঠ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দিয়েছি ( বিপ্লবীরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে এত লিফলেট বিলি করেছিলেন কিনা সন্দেহ আছে ) !! ক্রিসেন্ট অ্যাথলেটিক ক্লাবে আবীর দিয়ে বানান হল ভারতের মানচিত্রও!! আগের দিন রাতের ঘুম উড়ে কল্পনার ক্যানভাস হয়ে গেছে ! আমি সেখানে আবীর ওড়াচ্ছি , নাচছি , রসগোল্লা খাচ্ছি , বাজি পোড়াচ্ছি !! সৌরভের হাতে ওয়ার্ল্ড কাপ ! ঘরে সেইমত অঢেল আয়োজনও করা !!
খেলা শুরু হল মিন্টু রাজীবদের চকলেট বোমের হুঙ্কারে ! তারপর চকলেট বোমের হুঙ্কারের জবাব দিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা অত্যন্ত সুচারুভাবে ! দিয়ে দিয়ে দিয়ে এমন একটা জায়গায় দাঁড় করাল কে সোচ রহে থে খায়ে কঁহাসে অউর ..... হোয়াটএভার সেকেন্ড ইনিংসে সৌরভ সচীন যুবিরা ব্যাটের বদলে স্টেইনগান চালাবেন এই আশায় পাশের বাড়ির সোনির বড় কালার টিভির সামনে গিয়ে বসলাম ! আমার দুই খুদে ছাত্রী ফ্রিজের জল এগিয়ে দিল! অকস্মাৎ গিল্ক্রিস্টকে নিল হরভাজ্জি !! আনন্দে আত্মহারা আমি ছুটলাম আমার চকলেট বোমের বাক্সের দিকে ! আমার মনেহল সম্মিলিত বোমের ধমাকায় চমকে উঠবে পন্টিং ! ভেঙ্গে যাবে তাদের আত্মবিশ্বাস ! ইন্ডিয়া টিমের স্বার্থে নিজের প্রিয় ক্রিকেটারকে উৎসাহিত করার স্বার্থে দেশকে গৌরবান্বিত করার স্বার্থে আমি দৌড়ালাম!! ঘরে ঢুকে চকলেটের বাক্স আর দেশলাই ও ধূপ নিয়ে চৌকাঠ পেড়োতে গেলাম! চটিজোড়া উল্টে ছিল , একটাকে সোজা করলাম পরলাম এবং অপরটা নিজেই সোজা হয়ে পায়ে ঢুকে গেছে এরকম একটা ভাবে দেশলাই জ্বালাতে জ্বালাতে মাঠের দিকে লাফাতে গেলাম !
এই জগতে এই পৃথিবীতে ভাল চাওয়ার কোন দাম আছে ??? নেই নেই নেই ! থাকলে ওভাবে সেদিন পা মুড়ে পররতাম না !! নীল হয়ে পাঁচগুন ফুলে যাওয়া পা নিয়ে ম্যাচটাকে যন্ত্রনার কাতরধ্বনি দিয়ে বিহ্বল করে তুলে পন্টিংকে ১৪০ আর টিমকে ৩৫৯ করার সুযোগ দিতাম না !! আমার প্রায় অজ্ঞান হওয়া ব্যাথাক্লিষ্ট শরীর সেকেন্ড হাফে নার্সিংহোম ছুটল কাকুর গজরানি ও সারা রাস্তা জুড়ে ছোট বড় স্ক্রীনে ইন্ডিয়ান টিমের কালীপটকা ও ঝুঝ্ঝুরিবাতির পটপটানি ও ঝলকানি দেখে শুনে !
নার্সিংহোম থেকে যখন ফিরব তখন সব শেষ ! আশার লাস পরে আছে , ব্যাকে গান চলছে ' তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরনযাত্রা....' !!
টসে জিতে ব্যাটিং না ফিল্ডিং , এই প্রসঙ্গ যতই প্রাসঙ্গিক হোক , আমি তো
জানি এক ট্রু ডাই হার্ট ফ্যান ঠিকমত উৎসাহিত না করতে পারাতেই সেদিনকার
বিপর্যয়!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন